মান্না দে ২য় পাতা

১১.
রঙ্গিনি কত মন মন দিতে চায়
কি করে বোঝাই কিছু চাইনা চাইনা চাইনা
সন্দেহে ভরা হোক তোমার দুচোখ
আর কারো চোখে আমি চাইনা চাইনা চাইনা।।

হাতে থাক বেমানান কাঁকনের ধার
ও হাতেই দেখি তবু ভাগ্য আমার (২)
কাব্যের ভুল থাক তোমার গানের
আর কারে গান আমি গাইনা।।

ঝলমল করে ওঠে কত চাঁদমুখ
সুর্যের ধার করা রুপের আলোয়
এক অতি সাধারণ মুখ দেখি আমি
যে রয়েছে ভরপুর মন্দ ভালোয়।

হাজার গন্ধ তোলে প্রশ্নে ঝড়
দ্বিধায় কাঁপেনা তবু প্রাণের এ ধর (২)
আমি বলি ছোট হোক এযে ভালোবাসা (২)
পৃথিবী ডাকুক তবু যাই না।।


১২.
আমি যে জলসা ঘরে বেলোয়ারী ঝাড়
নিশি ফুরালে কেহ চায়না আমায় জানি গো আর।।

আমি যে আতর ওগো আতরদানি ভরা
আমারি কাজ হল যে গন্ধে খুশী করা
কে তারে রাখে মনে ফুরালে হায় গন্ধ যে তার।।

হায় গো কিযে আগুন জ্বলে বুকের মাঝে
বুঝেও তবু বলতে পারিনা যে
আলেয়ার পিছে আমি মিছেই ছুটে যাই বারে বার।।


১৩.
যদি এখানো আমাকে শুধু ভালোলাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি?
চোরা চাউনিতে যদি দূর থেকে দেখ, কাছে না আসো
বেশ বেশ তাইবা মন্দ কি।।

যদি ও মুখের ভার পাথর করে
ঘোরো-ফেরো সারাদিন নিজের ঘরে
যদি চোখের তারায় শুধু হাসো একবার
মুখে না হাসো মন্দ কি?

তোমার জানলার পর্দাটা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে পালায় যখন
আমার এ ঘর থেকে তোমার ঘরটা দেখি ভরিয়ে নয়ন।

দেখি আয়নার সামনেতে দাঁড়িয়ে থেকে
কাউকে না দেখে শুধু দেখ নিজেকে
যদি আমাকে ভাসাও আরো স্বপ্নে তোমার
নিজে না ভাসো মন্দ কি?


১৪.
গভীর হয়েছে রাত পৃথিবী ঘুমায়
হয়তো তুমিও গেছ ঘুমিয়ে
শুধু আমার দু’চোখে ঘুম আসেনা (২)
কেন ঘুম আসেনা
বুঝি ঘুমের সে রাত গেছে ফুরিয়ে।।

যে রাতে এ মন আসে মনের কাছে
দু’হাত জড়িয়ে ধরে হারায় পাছে
কিছু পায় কিছু আরো দিয়ে যেতে চায়
কামনার দুই কুল ভাসিয়ে।।

এই রাতে আঁধার চিরে একটু পরেই জানি আলোক উঠবে
স্বপ্নের মায়া মাখা তোমার আঁচল জুড়ে
এক মুঠো সোনা রোদ হেসে উঠবে।

জেনো তবু কিছু আর আমি চাইবোনা
তোমায় শোনাতে গান আর গাইবোনা
এ রাতে আমি একা কেউ সাথী নেই
তাই বুঝি ঘুম গেছে হারিয়ে।।


১৫.
কেন ফিরে যায় বেদনায় অভিমানিনী
আমিও কি তার মতো দু’চোখের জলে ওই ভাসিনি!

বলেছি তো কতোবার সে আমার সে আমার…..
হেরেছে একাই সেকি আমিও কি পরাজয় মানিনি?

যদি আমি পারতাম
সুখের স্বর্গটাকে হাতের মুঠোয় ধরে রাখতাম।

মধুর এ মাধবী সাজ বিফলে যাবে কি আজ?
একটু দাঁড়িয়ে সেকি শুনবেনা আমার এ কাহিনী!


১৬.
ললিতা গো
ওকে আজ চলে যেতে বলনা
ও ঘাটে জল আনিতে যাবোনা যাবোনা
ও সখি অন্য ঘাটে চলনা।।

দিবালোকে সে আমার নাম ধরে ডাকে,
আমাকে সবাই দোষে সে সাধু থাকে,
অসময় সময় কিছু কেন সে বোঝে না,
আমি কি তার হাতের খেলনা!

নিশি রাতে বাঁশী তার সিঁদকাঠি হয়ে,
চুপিচুপি ঘরে এসে বাজে রয়ে রয়ে,
যখনি ডাকবে সে তখনি যেতে হবে,
আমি কি এমনতর খেলনা!


১৭.
প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন
যত দূরে চাই নাই শুধু নাই
দিকে দিকে শুধু নাই নাই নাই।।

শুষ্ক কানন তরু শাখে
বিরস কণ্ঠে পাখি ডাকে (২)
বুক ফাটা পিয়াসায় অগ্নি আকাশ পানে চাহে সদাই।।

হায়রে স্রোতস্বিনী এমন শীর্ণা তোরে
দেখিনি তো আর কোন দিন (হায়রে)।

বক্ষে মরণ যাচে আশা
নীরব মৌন যত ভাষা
এক ফোটা অশ্রুর সান্ত্বনা খুঁজে তবু দু’হাত বাড়াই।।


১৮.
বেহাগ যদি না হয় রাজী বসন্ত যদি না আজ আসে
এ আসরে ইমন তুমি থাকো বন্ধু আমার পাশে।।

তোমার সুরের হাতটি ধরে চলো চলে যাই
যেখানেতে আনন্দ রাগ বাজে গো সদাই
কথার ফুলে সুরের ভ্রমর যেথায় মিলন সুখে হাসে।।

চোখের দেখা যাক ফুরিয়ে ক্ষতি কিছু নাই
স্বপ্ন দেখার নাই সীমানা দেখে যাবো তাই
ভালোবাসাই শিখেছে মন তাইতো শুধুই ভালোবাসে।।


১৯.
যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি পিয়ে
ধুয়ো লাশ আমার লাল পানি দিয়ে।

শরাবী জামসেদি গজল জানাজায় গাহিও আমার
দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি, খয়রাবি ওই শরাবখানায়।
রোজ কেয়ামতে তাজা উঠব জিয়ে।

এমনি পিব শরাব, ভেসে যাব তাহারি স্রোতে
উঠিবে খুশবু শরাবের আমার ওই গোরের পার হতে।
টলি পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।


২০.
আমি হারিয়েছি মোর ছোট্টবেলা হারাইনি তোমাকে
আজো আমায় ঘিরে মা যে আমার সব খানেতেই থাকে।

যখন দেখি কারো ঘরে ছোট্ট খুকু হাসে
মিষ্টি মায়ের মুখটি আমার চোখের উপর ভাসে।

ইচ্ছে করে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি তাকে
আদর করি আবার আমি আমার সোনা মাকে।

মাথায় সিঁদুর কপালে টিপ চুলটি এলো করে
দেখি যখন কোন মেয়ে যায়গো পূজার ঘরে,
শুনি যখন সেই সে বধূ ফু দিয়ে যায় শাঁখে
চোখের উপর দেখি আমি লক্ষ্মী আমার মাকে
বেহুস হয়ে একলা যখন থাকি জ্বরের ঘোরে
কপালে জল পটি দেয় যায় গো বাতাস করে
আমার মাথায় যখন কোমল সে হাত পরশটি তার রাখে
দুচোখ ভরে দেখি আমার স্নেহময়ী মাকে।

ঘুমায় যখন সারাটা দেশ নিশুতি রাত নামে
কাজের শেষে বাড়ীর দোরে চরণ আমার থামে
যখন দেখি দুটি পথ চাওয়া চোখ দরজাটার ওই ফাঁকে
দেখি অন্ন নিয়ে রাত জাগা মোর অন্নপূর্ণা মাকে।

আত্মীয় আর স্বজন যখন করে অবহেলা
ধনির সমাজ গরীব বলে করে হেলা ফেলা
তখন গল্প কথায় ভোলায় যে মোর মনের দুঃখটাকে
তারই মাঝে দেখি আমার করুণাময়ী মাকে।

এমনি করেই সব কটা দিন কাটিয়ে যাব আমি
মা যে আমার তিন ভূবনের সোনার চেয়ে দামী
কলহ ভুলে সারা দেয় মায়ের হাজার ডাকে
দেখবো শুধু বিভোর হয়ে মায়ের মমতাকে।


২১.
যে সমাধি বেদিটার ঠিক উপরে
ঝুলন্ত গাছটা পড়েছে নুয়ে
ওখানে যে রয়েছে শুয়ে
তার ভাগ্যকে আমি ঈর্ষা করি।।

ফুল নিয়ে আসতে যখন
ভুলে যাবে সব প্রিয়জন।

ঐ গাছটা তখন তার ফুল ঝরাবেঐ
বেদিটা শিশির দিয়ে রাখবে ধুয়ে
ওখানে যে রয়েছে শুয়ে
তার ভাগ্যকে আমি ঈর্ষা করি

চিরদিন রাখবে মনে
এমন সময় কারো নেই
এতো কারো অপরাধ নয়
কালের খেলাই হলো এই

এ জীবনে সত্য সেটা মেনে নিতে দোষ কি
যত দিন পোহাবে স্মৃতি পুরানো হবে
কে তাকে চিরটা কাল থাকবে ছুঁয়ে
ওখানে যে রয়েছে শুয়ে
তার ভাগ্যকে আমি ঈর্ষা করি।।


২২.
আমায় একটু জায়গা দাও মন্দিরে বসি
আমি অনাহূত একজন, অনেক দোষেতে দোষী।।

আমি সবার পিছনে থাকবো শুধু মনে মনে মাকে ডাকবো
কারো কাজে বাধা দিলে সাজা দিও যত খুশী
আমায় সাজা দিও যত খুশী।।

ভেব না হঠাত্ সামনে গিয়ে মায়ের চরণ ছুঁয়ে দেব
দুর থেকে শুধু চোখের জলেতে মার রাঙা পা ধুয়ে দেব।

শুধু আরতি যখন করবে, মা’র পূজাদীপ তুলে ধরবে
আমাকে দেখতে দিয়ো মায়ের একটু হাসি।।

১১.
রঙ্গিনি কত মন মন দিতে চায়
কি করে বোঝাই কিছু চাইনা চাইনা চাইনা
সন্দেহে ভরা হোক তোমার দুচোখ
আর কারো চোখে আমি চাইনা চাইনা চাইনা।।

হাতে থাক বেমানান কাঁকনের ধার
ও হাতেই দেখি তবু ভাগ্য আমার (২)
কাব্যের ভুল থাক তোমার গানের
আর কারে গান আমি গাইনা।।

ঝলমল করে ওঠে কত চাঁদমুখ
সুর্যের ধার করা রুপের আলোয়
এক অতি সাধারণ মুখ দেখি আমি
যে রয়েছে ভরপুর মন্দ ভালোয়।

হাজার গন্ধ তোলে প্রশ্নে ঝড়
দ্বিধায় কাঁপেনা তবু প্রাণের এ ধর (২)
আমি বলি ছোট হোক এযে ভালোবাসা (২)
পৃথিবী ডাকুক তবু যাই না।।


১২.
আমি যে জলসা ঘরে বেলোয়ারী ঝাড়
নিশি ফুরালে কেহ চায়না আমায় জানি গো আর।।

আমি যে আতর ওগো আতরদানি ভরা
আমারি কাজ হল যে গন্ধে খুশী করা
কে তারে রাখে মনে ফুরালে হায় গন্ধ যে তার।।

হায় গো কিযে আগুন জ্বলে বুকের মাঝে
বুঝেও তবু বলতে পারিনা যে
আলেয়ার পিছে আমি মিছেই ছুটে যাই বারে বার।।


১৩.
যদি এখানো আমাকে শুধু ভালোলাগে
ভালো না বাসো মন্দ কি?
চোরা চাউনিতে যদি দূর থেকে দেখ, কাছে না আসো
বেশ বেশ তাইবা মন্দ কি।।

যদি ও মুখের ভার পাথর করে
ঘোরো-ফেরো সারাদিন নিজের ঘরে
যদি চোখের তারায় শুধু হাসো একবার
মুখে না হাসো মন্দ কি?

তোমার জানলার পর্দাটা বাতাস উড়িয়ে নিয়ে পালায় যখন
আমার এ ঘর থেকে তোমার ঘরটা দেখি ভরিয়ে নয়ন।

দেখি আয়নার সামনেতে দাঁড়িয়ে থেকে
কাউকে না দেখে শুধু দেখ নিজেকে
যদি আমাকে ভাসাও আরো স্বপ্নে তোমার
নিজে না ভাসো মন্দ কি?


১৪.
গভীর হয়েছে রাত পৃথিবী ঘুমায়
হয়তো তুমিও গেছ ঘুমিয়ে
শুধু আমার দু’চোখে ঘুম আসেনা (২)
কেন ঘুম আসেনা
বুঝি ঘুমের সে রাত গেছে ফুরিয়ে।।

যে রাতে এ মন আসে মনের কাছে
দু’হাত জড়িয়ে ধরে হারায় পাছে
কিছু পায় কিছু আরো দিয়ে যেতে চায়
কামনার দুই কুল ভাসিয়ে।।

এই রাতে আঁধার চিরে একটু পরেই জানি আলোক উঠবে
স্বপ্নের মায়া মাখা তোমার আঁচল জুড়ে
এক মুঠো সোনা রোদ হেসে উঠবে।

জেনো তবু কিছু আর আমি চাইবোনা
তোমায় শোনাতে গান আর গাইবোনা
এ রাতে আমি একা কেউ সাথী নেই
তাই বুঝি ঘুম গেছে হারিয়ে।।


১৫.
কেন ফিরে যায় বেদনায় অভিমানিনী
আমিও কি তার মতো দু’চোখের জলে ওই ভাসিনি!

বলেছি তো কতোবার সে আমার সে আমার…..
হেরেছে একাই সেকি আমিও কি পরাজয় মানিনি?

যদি আমি পারতাম
সুখের স্বর্গটাকে হাতের মুঠোয় ধরে রাখতাম।

মধুর এ মাধবী সাজ বিফলে যাবে কি আজ?
একটু দাঁড়িয়ে সেকি শুনবেনা আমার এ কাহিনী!


১৬.
ললিতা গো
ওকে আজ চলে যেতে বলনা
ও ঘাটে জল আনিতে যাবোনা যাবোনা
ও সখি অন্য ঘাটে চলনা।।

দিবালোকে সে আমার নাম ধরে ডাকে,
আমাকে সবাই দোষে সে সাধু থাকে,
অসময় সময় কিছু কেন সে বোঝে না,
আমি কি তার হাতের খেলনা!

নিশি রাতে বাঁশী তার সিঁদকাঠি হয়ে,
চুপিচুপি ঘরে এসে বাজে রয়ে রয়ে,
যখনি ডাকবে সে তখনি যেতে হবে,
আমি কি এমনতর খেলনা!


১৭.
প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন
যত দূরে চাই নাই শুধু নাই
দিকে দিকে শুধু নাই নাই নাই।।

শুষ্ক কানন তরু শাখে
বিরস কণ্ঠে পাখি ডাকে (২)
বুক ফাটা পিয়াসায় অগ্নি আকাশ পানে চাহে সদাই।।

হায়রে স্রোতস্বিনী এমন শীর্ণা তোরে
দেখিনি তো আর কোন দিন (হায়রে)।

বক্ষে মরণ যাচে আশা
নীরব মৌন যত ভাষা
এক ফোটা অশ্রুর সান্ত্বনা খুঁজে তবু দু’হাত বাড়াই।।


১৮.
বেহাগ যদি না হয় রাজী বসন্ত যদি না আজ আসে
এ আসরে ইমন তুমি থাকো বন্ধু আমার পাশে।।

তোমার সুরের হাতটি ধরে চলো চলে যাই
যেখানেতে আনন্দ রাগ বাজে গো সদাই
কথার ফুলে সুরের ভ্রমর যেথায় মিলন সুখে হাসে।।

চোখের দেখা যাক ফুরিয়ে ক্ষতি কিছু নাই
স্বপ্ন দেখার নাই সীমানা দেখে যাবো তাই
ভালোবাসাই শিখেছে মন তাইতো শুধুই ভালোবাসে।।


১৯.
যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি পিয়ে
ধুয়ো লাশ আমার লাল পানি দিয়ে।

শরাবী জামসেদি গজল জানাজায় গাহিও আমার
দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি, খয়রাবি ওই শরাবখানায়।
রোজ কেয়ামতে তাজা উঠব জিয়ে।

এমনি পিব শরাব, ভেসে যাব তাহারি স্রোতে
উঠিবে খুশবু শরাবের আমার ওই গোরের পার হতে।
টলি পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।


২০.
আমি হারিয়েছি মোর ছোট্টবেলা হারাইনি তোমাকে
আজো আমায় ঘিরে মা যে আমার সব খানেতেই থাকে।

যখন দেখি কারো ঘরে ছোট্ট খুকু হাসে
মিষ্টি মায়ের মুখটি আমার চোখের উপর ভাসে।

ইচ্ছে করে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি তাকে
আদর করি আবার আমি আমার সোনা মাকে।

মাথায় সিঁদুর কপালে টিপ চুলটি এলো করে
দেখি যখন কোন মেয়ে যায়গো পূজার ঘরে,
শুনি যখন সেই সে বধূ ফু দিয়ে যায় শাঁখে
চোখের উপর দেখি আমি লক্ষ্মী আমার মাকে
বেহুস হয়ে একলা যখন থাকি জ্বরের ঘোরে
কপালে জল পটি দেয় যায় গো বাতাস করে
আমার মাথায় যখন কোমল সে হাত পরশটি তার রাখে
দুচোখ ভরে দেখি আমার স্নেহময়ী মাকে।

ঘুমায় যখন সারাটা দেশ নিশুতি রাত নামে
কাজের শেষে বাড়ীর দোরে চরণ আমার থামে
যখন দেখি দুটি পথ চাওয়া চোখ দরজাটার ওই ফাঁকে
দেখি অন্ন নিয়ে রাত জাগা মোর অন্নপূর্ণা মাকে।

আত্মীয় আর স্বজন যখন করে অবহেলা
ধনির সমাজ গরীব বলে করে হেলা ফেলা
তখন গল্প কথায় ভোলায় যে মোর মনের দুঃখটাকে
তারই মাঝে দেখি আমার করুণাময়ী মাকে।

এমনি করেই সব কটা দিন কাটিয়ে যাব আমি
মা যে আমার তিন ভূবনের সোনার চেয়ে দামী
কলহ ভুলে সারা দেয় মায়ের হাজার ডাকে
দেখবো শুধু বিভোর হয়ে মায়ের মমতাকে।