নচিকেতা চক্রবর্তী
at 1:08 PM Labels: নচিকেতা 1 comments
লাল ফিতে সাদা মোজা সু স্কুলের ইউনিফর্ম
ন’টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম
পড়া ফেলে এক ছুট ছুট্টে রাস্তার মোড়ে, দেখে
সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া
এরপর বিষন্ন দিন বাজেনা মনোবীণ
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়
তখন উদাস মন ভোলে মনরঞ্জন
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা
ওমনের গভীরতা জানতে চায়
যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে
তাকাতো সে অবহেলে দু’চোখ মেলে
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায়
রাত জেগে নাটকের মহরায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়
একবার একবার যদি সে দাড়ায়
বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপণ
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা
Download
SUNDAY, NOVEMBER 8, 2009
বৃদ্ধাশ্রম - নচিকতা
at 10:01 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম !
আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!
নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!
খোকারও হয়েছে ছেলে,দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন - নচিকেতা
at 9:44 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন
শুধু জীবনের কথা বলাই জীবন।
জীবন প্রসব করে চলাই জীবন,
শুধু যোগ বিয়োগের খেলাই জীবন।
শুধু সূর্যের পানে দেখাই জীবন,
জীবনকে ভোগ করে একাই জীবন,
একই কক্ষ্যপথে ঘোরাই জীবন,
স্বপনের সমাধি খোড়াই জীবন,
মনের গোপন ঘরে, যে শাপদ ঘর করে,
তাকেই লালন করে চলাই জীবন।
ফুটপাথে বেওয়ারিশ শিশুরা জীবন,
রাম, ইসলাম আর যিশুরা জীবন,
অষুধের বিষপান করাই জীবন,
চিকিত্ সাহীন হয়ে মরাই জীবন।
যে মেয়েটা রোজ রাতে, বদলায় হাতে হাতে,
তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন।
প্রতিবাদ প্রতিরোধে নামাই জীবন,
লক্ষ্যে পৌঁছে তবে থামাই জীবন,
স্বপ্নে বেচা কেনা করাই জীবন,
দেয়ালে ঠেকলে পিঠ লড়া ই জীবন,
প্রতিদিন ঘরে ফিরে, অনেক হিসেব করে,
‘এ জীবন চাই না’, তা বলাই জীবন।
FRIDAY, NOVEMBER 6, 2009
অ্যাম্বিশন - নচিকেতা
at 11:11 PM Labels: নচিকেতা 1 comments
কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয় রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।
আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
ঠকানোই মূল মন্ত্র, আজকের সব পেশাতে,
পিছপা নয় বিধাতাও, তেলেতে জল মেশাতে।
ডাক্তার ভুলছে শপথ, ঘুশ খায় ইঞ্জিনিয়ার,
আইনের ব্যবচ্ছেদে, ডাক্তার সাজে মোক্তার।
যদি চাও সফলতা, মেনে নাও এই সিস্টেম,
ফেলে দাও শ্রোতের মুখে, আদর্শ বিবেক ও প্রেম।
এ সমাজ মানবে তোমায়, গাইবে তোমারই জয়গান।
আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
বড় যদি চাইবে হতে, সেখানেও লোক ঠকানো।
সতভাবে বাঁচো বাঁচাও, একথা লোক ঠকানো।
সতভাবে যাবে বাঁচা, বড় হওয়া যাবে নাকো।
শুধু কথা না শুনে, বড়দের দেখেই শেখ।
এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে,
ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চোড়ো জয়োরথে।
শত লাঞ্ছণা দিও, কোরো আমায় অসম্মান।
তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী, কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয়, রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।
আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
WEDNESDAY, NOVEMBER 4, 2009
তুমি কি আমায় ভালোবাসো? - নচিকেতা
at 8:10 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
হেই
তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
যদি না বাসো, তবে পরোয়া করি না।।
আমি সুর্য্যের থেকে ভালোবাসা নিয়ে
রাঙাবো হৃদয় তার রং দিয়ে
পোষাকী প্রেমের প্রয়োজন বোধ করি না।
আমি তোমার জন্য
সস্তা প্রেমের নাটুকে নায়ক পারবোনা হতে পারবো না।
আমি তোমার জন্য কোনো কুমারের
ধার করা গান গেয়ে গায়ক পারবোনা হতে পারবো না।
যখন আমার ঘরেতে আঁধার
নেই একফোঁটা কেরোসিন।।
পাওনাদারের অভিশাপ শুনে জেরবার হয় বুড়ো বাপ
আমিতো তখন পারবোনা খেতে চাইনিজ বারে চাওমিন, হে।
হেই
তুমি কি আমায় ঘৃনা করো?
যদি ঘৃনা করো, তবে পরোয়া করি না।।
আহা বয়ে গ্যাছে সেই ভালোবাসা ধরে
বহুকে হারানো স্বপ্নকে ছেড়ে
সবাইতো আর নিজেকে বেঁচতে পারেনা!
হেই, তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
আমি তোমার দু'পায়ে আমার চেতনা-
স্বাধীনতা সঁপে দিতে পারবো না দিতে পারবো না।
আমি তোমার জন্যে,
আমি তোমার জন্য সবকিছু ছেড়ে
তোমার আঁচলে মুখ ঢাকা দিতে পারবো না।
আমার চলার পথের বাঁকেতে পড়ে জীবনের দাম।।
যেসব মানুষ সেই দাম খোঁজে
সবকিছু জেনে সবকিছু বুঝে
মুছে দাও যদি আঁচলেতে সেইসব মানুষের ঘাম -
হেই, তবেই আমায় পেতে পারো।
যদি তাই পারো, তবে পরোয়া করি না।।
জেনো তোমার জন্য ধুলোমাখা পথ
অপলকে চেয়ে জীবনের রথা -
সবকিছু ছেড়ে তুমি কি আসতে পারোনা?
বুড়ো সলোমন ভাসছে - নচিকেতা
at 8:36 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
বুড়ো সলোমন ভাসছে জাহাজে
নতুন এক দেশের সন্ধানে।
হাতে কম্পাস-ধ্রুবতারা সম্বল
কাঁপে পাটাতন ভাঁটার টানে।
বুড়ো সলোমন ভাসছে জাহাজে
নতুন এক দেশের সন্ধানে।
তার দেশেতে বড় অনাহার
নতুন এক দেশ খোঁজা দরকার।
যে দেশের মাটি হবে উর্বর
মিলে যাবে শস্যের সমাহার।
মাঝি-মাল্লারা তাই দাঁড় টানে,
নতুন উৎসাহ-উচ্ছল প্রানে,
দূরে সাগর-বাজের ডানা রোদ্দুর,
আর বাতাসের ফিসফিস কানে।
বুড়ো সলোমন ভাসছে জাহাজে
নতুন এক দেশের সন্ধানে।
তার দেশেতে বড় অনাচার
অত্যাচারীর হাতে শাসন,
তারা শ্রমিকের শ্রম করে চুরি
কৃষকের জমি আগ্রাসন।
সলোমন আর তার মাল্লারা,
সাগর-সাথী তাই, দেশ ছাড়া।
দূরে রঙধনু আকাশের বুকে -
এঁকে যায় বুঝি জীবনের মানে।
বুড়ো সলোমন ভাসছে জাহাজে
নতুন এক দেশের সন্ধানে।
আমরাও আছি বড় কষ্টে,
নিজ দেশে আছি পরবাসে,
আমাদের বাঁচবার অধিকার
মৃত-শাসনের নাগপাশে।
বুড়ো সলোমন আজ তুমি ভরসা,
কবে কেটে যাবে দু'চোখের বরষা।
নিশ্চয়ই খুঁজে পাবে তুমি সেই দেশ
চিঠি দিও আমাদের এইখানে।
বুড়ো সলোমন ভাসছে জাহাজে
নতুন এক দেশের সন্ধানে।
হেঁইয়া হো, হো হো হো
হেঁইয়া হো, ও ও ও।
Download : ৩.৮ মেগাবাইট
TUESDAY, DECEMBER 15, 2009
সারে যাঁহা সে আচ্ছা - নচিকেতা
at 8:57 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
আমার পরিচয় – বেকার যুবক আমি, সম্বল একটাই দৈন্য।
ডিগ্রির ভাঁড়ারেতে তবু কিছু মাল আছে, পকেটের ভাঁড়ারটা শুন্য।
যেদিকেই তাকাই না, দেখি জন-অরণ্য, সে অরণ্যেই দেখি মানুষেরা পণ্য,
বধুকে পোড়ানো হয়, অধর্ম জয়ী হয়, মানুষের রক্তে দিনলিপি সই হয় ।
হাস্পাতালের বেডে টিবি রোগীর সাথে খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা।
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – সারে যাঁহা সে আচ্ছা।
লাঞ্ছনা গঞ্জনা মাখা অভিযোজনে রপ্ত করেছি নিজেকে,
অসত্ হবার বহু বহু প্রচেষ্টায়, ব্যর্থ করেছি নিজেকে।
চাকরির স্ন্ধানে সুখতলা খয়ে যায়,গঙ্গার জল তবু একই ভাবে বয়ে যায়,
ঘুশ্, ঘুশ্,ঘুশের এক ঘুস-ঘুসে জ্বরে, গোটা দেশ চিত্কার করে ডাকে ‘ডাক্তার’,
ডাক্তার উড়ে আসে ঋণের অষুধ নিয়ে, গঙ্গার পুজো হয় গঙ্গার জল দিয়ে।
বছরের অন্তে, বাজেটের যন্ত্রে পিশে দেই জীবনটা, গচ্চা।
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – সারে যাঁহা সে আচ্ছা।
প্রার্থির যোগ্যতা অথবা অভিজ্ঞতা, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের দীনতা,
কোনো কিছুই কোনো কিছুকেই ঢাকে না। আর,
‘লোক’ অথবা ‘বিধান’ যে দিকেই তাকান, রাজনিতিজ্ঞ হতে যোগ্যতা লাগে না।
হাজার প্রতিশ্রুতি বাতাসেই বয়ে যায়, ‘চলছে না, চলবে না’, তবু তাই হয়ে যায়।
কত শত শয়তান, হতে চায় ভগবান, আল্লা না বড় রাম, এই চলে অবিরাম।
খুনোখুনি লাঠালাঠি, অবিরাম অনুক্ষণ,এদিকে তোমার আমার পেটেতে ছুঁচোর ডন।
সমাজ বিরোধি কিছু, করে বলে মাথা উঁচু, সমাজবাদের পথই সাচ্চা।
তবু রেডিওটা টিভিটার সাথে সুর ধরে – সারে যাঁহা সে আচ্ছা।
যখন সময় থমকে দাঁড়ায় - নচিকেতা
at 8:56 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
যখন সময় থমকে দাঁড়ায়
নিরাশার পাখি দু’হাত বাড়ায়
খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন
কি আর করে তখন
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখে মন
যখন আমার গানের পাখি
শুধূ আমাকেই দিয়ে ফাঁকি
সোনার শিকলে ধরা দেয় গিয়ে
আমি শূন্যতা ঢাকি
যখন এঘরে ফেরে না সে পাখি
নিস্ফল হয় শত ডাকাডাকি
খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন
কি আর করে তখন
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখে মন
যখন এমনে প্রশ্নের ঝড়
ভেঙ্গে দেয় যুক্তির খেলাঘর
তখন বাতাস অন্য কোথাও
শোনায় তার উত্তর
যখন আমার ক্লান্ত চরন
অবিরত বুকে রক্তক্ষরন
খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন
কি আর করে তখন
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখে মন
যখন সময় থমকে দাড়ায়
নিরাশার পাখি দু’হাত বাড়ায়
খুঁজে নিয়ে মন নির্জন কোন
কি আর করে তখন
স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখে মন
ভয় - নচিকেতা
at 8:55 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
ডাইনে বাঁয়ে, গঞ্জে গাঁয়ে,
পুরানো অথবা নতুন অধ্যায়ে,
বিশৃংখলা যতই বাড়ুক,
গণতন্ত্র রাষ্ট্র যন্ত্র দুচোখ বুজে রয়,
ভ’হয় ! ভ’হয় ! ভ’হয় ! ভয় !
পাছে ভোট নষ্ট হয়।
পড়াশুনা আর ভাবনা চিন্তা,
নাচছে শীকেয় – তা ধিন্ ধিন্ তা !
বিরাশি প্রহর সংকীর্তন,
মাইকে প্রবল চিত্কার।
রাষ্ট্র হেসে বলেন -
এ যে গণতান্ত্রিক অধিকার।
শব্ দ দূশণ প্রতিকার,
সে তো বিজ্ঞাপনের কথা
ভবিষ্তের কথায় নেই কারোর মাথাব্যথা।
আসলে, হাজারটা লোক, হোতাদের ভোট,
রয়েছে ধর্ম ময়।
ভ’হয় ! ভ’হয় ! ভ’হয় ! ভয় !
পাছে ভোট নষ্ট হয়।
শহরের এক কোণে বেড়ে চলে
অন্ধকারের চক্র,
সমীজ-বিরোধী, মাস্তান, ফোড়ে,
একতা ওদের অস্ত্র।
ওদেরই তো দেখি ভোটের সময়,
নানান রঙের রাঙানো জামায়,
রাষ্ট্র তখন প্রাণপনে ভোলে
ওদের পরিচয়।
তাই ভয় ! ভয় ! ভহ’য় ! ভয় !
পাছে ভোট নষ্ট হয়।
নীলাঞ্জনা~২ - নচিকেতা
at 8:54 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
দুলছে হাওয়ায় , না না না ফুল নয়
দখিনা বাতাসে নাগপাশে সময় নয়।
খোলা বারান্দায়, এই নিরজনতায়
সিলিংয়ের বন্ধনে, মাটির ব্যাবধানে
দুলছে স্খলিত বসনা
নীলাঞ্জনা নীলাঞ্জনা ।।
প্রেমিকের স্পর্শ
আনবেনা শিহরন আর ঐ মনে,
কেয়ার অফ ফুটপাত নচিকেতা দুটি হাত
শূণ্যে ছুড়বে ফাঁকা আস্ফালনে,
উড়ছে মাছি , না না না অবুঝ নয়
সে আজ একা তাই ঘিরে মাছিরা রয় ।
খোলা বারান্দায়, এই নিরজনতায়
সিলিংয়ের বন্ধনে, মাটির ব্যাবধানে
দুলছে স্খলিত বসনা
নীলাঞ্জনা নীলাঞ্জনা ।।
লাশকাটা ঘরে যদি
ছেরা হয় তার বুক সঙ্গোপনে,
দেখবে সেখানে রাখা বিবর্ণ
একমুঠো স্বপ্ন যতনে ।
যে স্বপ্ন কোন কিশোরের দেয়া উপহার
গানের ভাষায় ,
যে স্বপ্ন প্রথাগত মিথ্যে কপট সংসারের আশায়।
এখন সময় না না না রাত্রি নয়
সে আজি জীবনরাত্রি পেরিয়ে গেছে হায় ।
খোলা বারান্দায়, এই নিরজনতায়
সিলিংয়ের বন্ধনে, মাটির ব্যাবধানে
দুলছে স্খলিত বসনা
নীলাঞ্জনা নীলাঞ্জনা ।।
চোর - নচিকেতা
at 8:52 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
ভিড় করে ইমারত, আকাশটা ঢেকে দিয়ে,
চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনা রোদ।
ছোটো ছোটো শিশুদের শৈশব চুরি ক’রে,
গ্রন্থ-কীটের দল বানায় নির্বোধ।
এরপর চুরি গেলে বাবুদের ব্রীফ-কেস
অথবা গৃহিণীদের সোনার নেকলেস,
সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে
চিত্কার করে বলে —
চোর, চোর, চোর, চোর, চোর।
প্রতিদিন চুরি যায় মূল্যবোধের সোনা,
আমাদের স্বপ্ন, আমাদের চেতনা।
কিছুটা মূল্য পেয়ে ভাবি বুঝি শোধ-বোধ,
ন্যায় নীতি ত্যাগ করে, মানুষ আপোস ক’রে,
চুরি গেছে আমাদের সব প্রতিরোধ।
এর পর কোনো রাতে, চাকরটা অজ্ঞাতে,
সামান্য টাকা নিয়ে ধরা প’ড়ে হাতে নাতে।
সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে
চিত্কার করে বলে —
চোর, চোর, চোর, চোর, চোর।
প্রতিদিন চুরি যায় দিন বদলের আশা,
প্রতিদিন চুরি যায় আমাদের ভালবাসা।
জীবনী শক্তি চুরি গিয়ে আসে নিরাশা,
সংঘাত্ প্রতিঘাত্ দেয়ালে দেয়ালে আঁকা,
তবু চুরি যায় প্রতিবাদের ভাষা।
কখনো বাজারে গেলে, দোকানী কিশোর ছেলে,
কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে, ওজনেতে কম দিলে,
সকলে সমস্বরে, একরাশ ঘৃণা ভরে
চিত্কার করে বলে —
চোর, চোর, চোর, চোর, চোর।
অনির্বান~১ - নচিকেতা
at 8:51 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
অনির্বান আমার বন্ধু , অনির্বানের সাথে যখন আমার দ্বিতীয়বার দেখা হয়েছিলো তখন সময়টা ছিলো বড় অদ্ভুত। আমরা হাইওয়ের উপর দিয়ে অনেকদুরে একটা অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি, লাল আকাশ , সন্ধ্যে হয়ে আসছে , দু’পাশে ফাঁকা মাঠ । আমরা চা খাবো বলে গাড়িটা দাড় করিয়েছি একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত চায়ের দোকানে। এমন সময় দেখতে পেলাম লাল আকাশকে পেছনে রেখে একটা ছেলে মাঠ পার হয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমার সামনে এসে দাড়িয়ে বললো – চিনতে পারছিস ? আমি বললাম – না ! বললো – ভালো করে দেখ । আমি সেই চুরি যাওয়া আলোতে ওকে চিনলাম , আমার বন্ধু অনির্বান ।
আমার চোখের সামনে পুরোনো দিনগুলো ছায়াছবির মত ভেসে উঠছে। আমি ওকে প্রশ্ন করলাম – অনির্বান , তুই এখানে !! ও বললো – তাইতো কথা ছিলো বন্ধু , আমাদের তো এখানেই থাকার কথা ছিলো । আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে । আমি খুব বোকার মত ওকে প্রশ্ন করলাম – অনির্বান কি করছিস এখন ? ও বললো – যা কথা ছিলো বন্ধু , মানুষের মাঝখানেই আছি । আমি আর দাড়িয়ে থাকতে পারছিনা , একটা অপরাধবোধ আমাকে গ্রাস করছে । ও বললো – তোর দেরি হয়ে যাচ্ছে । আমি গাড়িতে যেয়ে বসলাম । ও জানলার কাছে এসে বললো – এখন তো তোর নাম হয়ে গেছে , তুইতো বিখ্যাত হয়ে গেছিস ! সুখেই আছিস কি বল ! আমার গাড়ি স্টার্ট নিয়ে নিয়েছে , অনির্বান আমার জীবন থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে …..
অনির্বানের শেষ কথা গুলো আজও আমার কানে আলপিনের মত বেঁধে –
সুখেই আছিস….
সুখেই আছিস……….
দেখে যা , যা অনির্বান
কি সুখে রয়েছে প্রান
কি সুখে রয়েছি আমি
কি সুখে বেচেছি গান
সেদিনের মিটিঙের মাইক
সেদিনের কলেজের স্ট্রাইক
সেদিনের মাতাল পদক্ষেপ
বে-দিক সিদ্ধান্তের আক্ষেপ
আজ কেঁদে এই মাপা পদচারন
সেদিনের তালের কাছে ম্লান
দেখে যা , যা অনির্বান
কি সুখে রয়েছে প্রান
কি সুখে রয়েছি আমি
কি সুখে বেচেছি গান
শ্রমিকের মুক্তির গান
কৃষকের হাতিয়ার শান
শ্রেনী হীন সমাজের স্বপ্ন
ঘৃনার প্রতিপালনেতে যত্ন
আজ তোর ঘামে ভেজে যে পথের ধূলো
হয়তো সেথায় আমার হতো স্থান
দেখে যা , যা অনির্বান
কি সুখে রয়েছে প্রান
কি সুখে রয়েছি আমি
কি সুখে বেচেছি গান
SUNDAY, NOVEMBER 15, 2009
সরকারি কর্মচারী - নচিকেতা
at 8:42 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
বারোটায় অফিস আসি, দুটোয় টিফিন।
তিনটেয়ে যদি দেখি সিগন্যাল গ্রীন,
চটিটা গলিয়ে পায়ে, নিপাট নির্দ্বিধায়
চেয়ারটা কোনোমতে ছাড়ি।
কোনো কথা না বাড়িয়ে,
ধীরে ধীরে পা বড়িয়ে
চারটেয় চলে আসি বাড়ি।
আমি সরকারি কর্মচারী।
আমি সরকারি কর্মচারী।
আমি অফিসেতে বসে বসে আনন্দলোক পড়ি,
টাডা থেকে ছাড়া পেল সঞ্জয়।
আর টেবিলেতে ফাইল এসে জমে জমে
দূর থেকে মনে হয় হিমালয় !
হপ্তায় হপ্তায় আন্দোলনের খেলা,
টি-এ, ডি-এ বাড়ানোর জন্য।
ফি মাসে মাসে যদি এক দিনও কাজ করি,
অফিসটা হয়ে যায় ধন্য।
কারো ফাইল পাস্ করে নির্লজ্জের মতো
হাতখানা পেতে দিতে পারি।
আমি সরকারি কর্মচারী।
আমি সরকারি কর্মচারী।
(মা, মাগো, জগত্ জননী, অন্নদায়িনী মা আমার রক্ষা কোরো ! )
ঘুশ আমার ধর্ম ঘুশ আমার কর্ম
ঘুশ নিতে কি শংসয় ?
প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ
ঘুশ খাওয়া কখনই নয়।
তাই কারো ফইল পাস্ করে নির্লজ্জের মত
হাত খানা পেতে দিতে পারি।
আমি সরকারি কর্মচারী।
আমি সরকারি কর্মচারী।
এই বেশ ভাল আছি - নচিকেতা চক্রবর্তী
at 8:40 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
এই বেশ ভাল আছি। এই বেশ ভাল আছি।
এই বেশ ভাল আছি, কর্ম কাজ নেই, গাড়ি ঘোড়া কিছু নেই,
অফিস কাছারি নেই, হাজিরা কামাই নেই,
শব্দ বা পরিবেশ দূষণ বালাই নেই,
সময় দেই না বলে তেলে বেগুণে জ্বলে গিন্নীর রাগ নেই,
টেলিফোনে ডাক নেই, শহরেতে কারফিউ, লোকজন কেউ নেই,
এক-চার-চার ধারা, ফুটপাথে থাকে যারা, কেউ কোত্থাও নেই,
নেই নেই কিছু নেই, তবুও তো আছে কিছু, বলতে যা বাধা নেই–
দু নয়নে ভয় আছে, মনে সংশয় আছে,
ঐ ধর্মের বাঘ হেসে, আবার উঠোনে এসে,
আশ্রয় চেয়ে যায় মানুষেরই কাছে।
তাই, ভয় আছে
দু নয়নে ভয় আছে, মনে সংশয় আছে।
ভেঙে গেলে জোড়া যায় মন্দির মসজিদ,
ভাঙা কাঁচ, ভাঙা মন যায় না,
রাম আছে, শ্যাম আছে, কোরাণী সেলাম আছে,
রক্তলোলুপ কিছু হয় না।
এদেশ টা ফাঁকা আছে, বিদেশের টাকা আছে,
ধর্ম না গ্রাস করে আমাদের পাছে।
তাই, ভয় আছে
দু নয়নে ভয় আছে, মনে সংশয় আছে।
এই বেশ ভাল আছি। এই বেশ ভাল আছি।
এই বেশ ভাল আছি, ভাবার সময় আছে, তবুও ভাবনা নেই,
পার্কে তে ঘোরা নেই, সিনেমায় যাওয়া নেই,
উঠতি যুবকদের যাতনার সীমা নেই,
শিহরণ আনে প্রেমে এমন বাতাস নেই,
যুবতীর কটাক্ষ, চীরে দেয় এ বক্ষ, হায়রে এমন দিনে
সেই অবকাশ নেই, চাল নেই, ডাল নেই, পয়সার দাম নেই,
তবুও টিভির স্ক্রীনে খেলার বিরাম নেই।
নেই নেই কিছু নেই, তবুও তো আছে কিছু, বলতে যা বাধা নেই–
দু নয়নে ভয় আছে, মনে সংশয় আছে।
THURSDAY, NOVEMBER 12, 2009
ইটস এ গেম - নচিকেতা
at 1:13 PM Labels: নচিকেতা 1 comments
বন বন পৃথিবীটা ঘুরছে ঘুরছে শুধু,
চলছে নানান রঙের খেলা
ট্র্যাপিজের সরু তারে হয়তো দুলছে কেউ
রাজনীতি, পাশা কারো জনসমুদ্রে ঢেউ
লক্ষ্য তো একটাই, ভাগ্য মুঠোতে চাই
ছুটছে সবাই সারা বেলা।
জিতে গেলে হিপ হিপ হুররে শুনবে তুমি
হেরে গেলেই শেম শেম
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।
বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে,
পরাজিতরাই পাপী এখানে
রাম যদি হেরে যেত, রামায়ন লেখা হত
রাবন দেবতা হত সেখানে
কেন পথ নিয়ে মাথাব্যাথা?
কেন পথ নিয়ে মাথা ব্যাথা, জেতাটাই বড় কথা
হেরে গেলেই শেম শেম
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।
ভালোবাসা আসলেতে একটা চুক্তি জেনো,
অণুভূতি টনুভূতি মিথ্যে
কেউ দেবে নিরাপত্তা, কেউ বিশ্বাস
আসলে সবাই চায় জিততে
ভালোবাসা!
ভালবাসা আসলেতে পিটুইটারীর খেলা
আমরা বোকারা বলি প্রেম।
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।
একদিন স্বপ্নের দিন - হঠাৎ বৃষ্টি
at 11:14 AM Labels: ছিনেমার গান, নচিকেতা 2 comments
একদিন স্বপ্নের দিন, বেদনার বর্ণবিহীন,
এ জীবনে যেন আসে এমনই স্বপ্নের দিন।
সেই ভাবনায় ভাবে মনে হয়
দু’টি নয়নেতে ঘোর বর্ষা নামে।
আসে না ফাগুন, মনেতে আগুন,
এমন বিরহ জ্বালায় স্মৃতির মেলায় কাটে না আর দিন।।
একদিন হঠাৎ হাওয়া, থামিয়ে আসা-যাওয়া,
প্রশ্নের জাল বোনে, শুরু হয় চাওয়া-পাওয়া।
আজ শুধু পথ চাওয়া, বিরহের গান গাওয়া,
ভাবনার নদী বুকে, উজানেতে তরী বাওয়া।
শুধু সেই গান ভোলে অভিমান
চোখে অকারণ ঘোর বর্ষা নামে।
আসে না ফাগুন, মনেতে আগুন,
এমন বিরহ জ্বালায় স্মৃতির মেলায় কাটে না আর দিন।।
যদি এই পথ ধরে, আমার এ মনের ঘরে,
চিঠি হয় অগোচরে, আসে কেউ চুপিসারে।
চাঁদের ওই আলো হয়ে, আসো মোর ভাঙা ঘরে,
দেখা যায়, যায় না ছোঁয়া, যেন গান চাপা স্বরে।
শুধু সেই গান ভোলে অভিমান
চোখে অকারণ ঘোর বর্ষা নামে।
আসে না ফাগুন, মনেতে আগুন,
এমন বিরহ জ্বালায় স্মৃতির মেলায় কাটে না আর দিন।।
সে কি ফিরবেনা - নচিকেতা
at 10:29 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
চেনা শোনা পৃথিবীটা পর হয়ে গেলো
ভেঙ্গে গেলো চেনা সাইকেল
হাইওয়ে জুড়ে শুধু লাল সিগন্যাল
স্বপ্নের চাকা ব্রেকফেল
দু'পায়ে বড় ব্যথা, হাঁটছে নচিকেতা
জানিনা সূর্যটা উঠবে কখন
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা কোন পথে
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা ছায়াপথে।
রাত্রির ফুটপাথে থেমে থাকা
বিজ্ঞাপনের মুখ লিপস্টিক লাল
সময়ের কাটা ছুটছে যখন
ভাবছি কখন হবে সকাল
আঁকি বুকি কেটে কালি শেষ হয়ে গেলো
ভেঙ্গে গেলো চেনা স্কেচ পেন
রেললাইনের বুকে জোনাকীর ভীড়
থেমে গেল গেল ট্রেন ট্রেন
দু'পায়ে বড় ব্যথা, হাঁটছে নচিকেতা
জানিনা সূর্যটা উঠবে কখন
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা কোন পথে
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা ছায়াপথে।
সকালের রোদ্দুর প্যাস্টেল রঙ
বুকের দেয়ালে লেখে খেয়ালী শ্লোগান
চোখে চোখ রাখা সম্ভব নয়
ঝলসে যাচ্ছে কত ফুলের বাগান
আজকের সূর্যেরা সন্ত্রাসবাদী
ভালোবাসা খোঁজে বাইপাস
বাসস্টপে বৃষ্টিরা ভীড় করে এলো
নেই দূরপাল্লার বাস
দু'পায়ে বড় ব্যথা, হাঁটছে নচিকেতা
জানিনা সূর্যটা উঠবে কখন
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা কোন পথে
সে কি ফিরবেনা ফিরবেনা ছায়াপথে।
ডাউনলোড
কেউ চায়, কেউ পায় - নচিকেতা ও শুভমিতা
at 10:25 AM Labels: নচিকেতা, শুভমিতা 1 comments
কিছু রঙ আবার কিছু জলছবি
মন বল এবার তুই কার হবি
কিছু সুখ আবার অসুখী আকাশ
এই রোদ ছায়ায় হেঁটে বারোমাস
কেউ চায়, কেউ পায়
কেউ বারবার হেরে যায়
আঁধার ঘেরা পথে হঠাৎ জোনাকী
সেই আলোয় দেখা মুখ অচেনা কী
ভুলের বাসা বেঁধে নিভেছিল আলো
সেই আঁধার বেয়ে এ রাত থমকাল
স্বপ্নতে চাঁদের হাসি
মনে হয় জীবন ভালোবাসি
কেউ চায়, কেউ পায়
কেউ বারবার ফিরে যায়
কে হাত ধরতে বাঁধভাঙ্গা মন
বিশ্বাসের ছোঁয়া অধরা স্বপন
জীবন খেয়া বেয়ে রাত কেটে ভোর
ঠান্ডা হাওয়া নামে বুকের পাথর
জানলা তে রোদ একফালি
সূর্যটা ডাক দিয়ে যায় খালি
কেউ চায়, কেউ পায়
কেউ বারবার থমকায়
আদিত্য সেন - নচিকেতা
at 10:23 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
আদিত্য সেন এক রাজনীতিবিদ
কলোনীর ঘরে যার বাস
আদিত্য সেন এক সৎ মানুষ
যিনি আধপেটা খেয়ে বারো মাস
আদিত্য সেন পিঠ সোজা রাখেন
পার্টির ভোলটাই মার
আধপেটা খেয়ে থাকবেন তবু
মুদির দোকানে নেই ধার
আদিত্য সেন আদিত্য সেন সূর্যের মত যার ধার
আদিত্য সেন আদিত্য সেন আজ প্রয়োজন বড় আপনার
আদিত্য সেন ভাঙ্গে প্রমোটার রাজ
আদিত্য পুকুর বাঁচায়
আদিত্য সেন যেন স্বয়ং লেনিন
বিপদকে আঙ্গুলে নাচায়
আদিত্য সেন বলে স্পষ্ট কথা
ত্বত্তের কিবা প্রয়োজন
মানুষের প্রয়োজনে যিনি দাঁড়ান
তার লাগে কি ত্বত্তকথন
আদিত্য সেন আদিত্য সেন সূর্যের মত যার ধার
আদিত্য সেন আদিত্য সেন আজ প্রয়োজন বড় আপনার
আদিত্য সেন লাল স্বপ্ন দেখেন
সকলের সমান অধিকার
আদিত্য মানুষের ক্ষুধার সমন
যার ঘরেতে ঘোর অনাহার
আদিত্য তার শিশু সন্তানকে
লেনিনের গল্প শোনান
উই শ্যাল ওভারকাম সাম ডে
দৃঢ়তার সাথে তিনি গান
ওই যে দূরে যাকে দেখছ বসে
পাত্র হাতে ভিক্ষার
বহিষ্কৃত তিনি পার্টি থেকে
আদিত্য সেন নাম তার
রাজনীতি করতেন তার সাথে যারা
গাড়ি বাড়ি করে তারা সৎ
রাজনীতিতে নেই সততার ঠাঁই
একথার নেইতো দ্বিমত
তবু আদিত্য ভুলিনি কিছুই
আমরা প্রতীক্ষায়
এই নপুংশকের রাজনীতি ছেড়ে
কবে আপনার হবে উদয়
আদিত্য সেন আদিত্য সেন সূর্যের মত যার ধার
আদিত্য সেন আসুন ফিরে আজ প্রয়োজন বড় আপনার
WEDNESDAY, APRIL 4, 2012
সোনালী প্রান্তরে - হঠাৎ বৃষ্টি
at 10:32 AM Labels: নচিকেতা 1 comments
সোনালী প্রান্তরে ভ্রোমরার গুঞ্জরে
দখিনা পবনেতে অন্ধ আবেগে
থাকে না মন ঘরে।।
বারে বারে যেন আসি ফিরে এমন দেশে
উষ্ণ বালির বুকে সূর্য যেথায় ওঠেন হেসে।
ভালোবাসা কত আশা, ছড়ানো এ বাতাসে
স্বপ্নমাখা মেঘের নকশা ঝড়ানো এ আকাশে।
স্বপ্ন জড়ানো মন চেয়ে থাকে অনুক্ষণ
এ কথা জানায় বারে বারে।।
(ও) আজ নতুন সাজে এলো যে বৈশাখী এরা
হাতেতে যেন থাকে ও সুজন তোমারই হাত।
উষ্ণ মরুর শুকনো বুকে থাকে বাতাস ছবি
দিবারাত্রি যেন কাব্য লিখে যায় কোন্ সে কবি।
স্বপ্ন জড়ানো মন চেয়ে থাকে অনুক্ষণ
এ কথা জানায় বারে বারে।।