ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য

বাসরের দীপ আর আকাশের তারাগুলি, নিবিড় নিশীথে জেগে জ্বলবে
মনে হয় তাকে দেখে স্মরণের ব্যথাগুলি আমায় মনের কিছু বলবে ||
হৃদয় গহন হতে স্বপন কুড়ায়ে লয়ে সুরের খেয়ালী জাল বুনবো,
তোমার গোপন কথা শুনবো
মুখে রবে হাসি আর, চোখে চোখে চেয়ে শুধু
মন দেওয়া নেওয়া আজ চলবে ||
হয়তো ব্যাকুল হয়ে বাতাসের বাঁশীখানি সেইক্ষণে কত সুর ধরবে
তাই শুনে বনছায় না ফোটার বেদনায়
কত ফুল ঝুলিতে যে ধরবে ||
এত যে জেনেছি আমি, মনে হয় আরও
যেন কত যে নিবিড় করে জানবো,
তোমায় আপন বলে মানবো
তবুও কি অকারণে  মিলনেরই ফুলমালা অবহেলা ভরে তুমি দলবে ||
 
 
 
 
ও তুই ঘুমের ঘোরে থাকবি কত আর----
চেয়ে দেখ্ ভোরের আলোয় নেই যে অন্ধকার ||
.       চেয়ে তুই দেখিস যদি তেমন করে
.       ভগবানের পৃথিবীতে নয় তো কিছুই মন্দ ওরে----
তোর যে মনেতে ফোটে রে ফুল কবে বল্ খবর নিবি তার ||
.       দু’চোখে লুটে নে রে এই যে আলো
.       মুছে যাক এই প্রভাতের যত তোর পাপের কালো---
আপনারে নে চিনে তুই খুলে দে প্রাণের বন্ধ দ্বার ||
 
 
 
 

আমি আঙুল কাটিয়া কলম বানাই, চক্ষের জলে কালি
আর পাঁজর ছিঁড়িয়া লিখি এই কথা, পিরীতি যে চোরাবালি।।

দীর্ঘশ্বাস যে কাগজ বন্ধু, দুঃখ আখর তারই
মাথার কিরা, সে লিখনের ভাষা আমি লিখিতে পারি
সে ভাব বুঝিতে, সে ভাষা পড়িতে মোর বঁধুয়াই জানে খালি।।

হায় হেন কেন মোর নাই রে, সবাই মুখ্যু আমারে কয়
তোমরাই বল, বল গো, এই পত্র লিখিতে বিদ্যা শিখিতে
পুঁথি কি পড়িতে হয় ?

বিরহ যে তার শিরোনামা, ওগো জানি না বঁধুর নাম
তাই যে গো হায়, পারি না লিখিতে কি তার ঠিকানা ধাম
সে যদি না পড়ে এই প্রান লিখন,
বিধি, চিতায় দাও গো জ্বালি।।

 

 

কথা - পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুর - রতু মুখোপাধ্যায়,
শিল্পী - ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য

চামেলি মেলো না আঁখি,
চাঁদিনী কেন মিছে মায়া রাখো ?
আসেনি তো সে প্রিয় কুঞ্জবনে
কোকিলা কেন কুহু কুহু ডাকো  ?
প্রেমের প্রথম উচ্ছলতায়
সলাজ নত মুখে ধরা দিল তায়---
সে লাজ ভেঙো নাকো, মিনতি রাখো ||
ভালো লাগে তার দু’টি কথা
নয়নে দিল মনের বারতা ;
সে নয়ন ওঠে যে ছলছলি,
মন কেঁদে বলে, ‘শোনো গো কলি,
সুরভি দিয়ে কেন মধুপে ডাকো ?’

 

 

কথা - প্রণব রায়, সুর - সুবল দাশগুপ্ত, কণ্ঠ - ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য

যদি ভুলে যাও মোরে জানাব না অভিমান,
আমি এসেছিনু তোমার সভায় দু’দিন শোনাতে গান ||
আমি এসেছিনু অবসর ক্ষণে, মুকুল ফোটাতে তব মনবনে
তার বিনিময়ে আমি কোনও দিন চাইনি তো প্রতিদান,
আমি এসেছিনু --- শোনাতে গান ||
প্রভাতে কে আর মনে রাখে বল রজনী শেষের চাঁদে
শুধু দু’দিনের সাথী রেখে আর মালার বাঁধনে বাঁধে |
গান সারা হলো আমি যাই সরে, কোন ক্ষতি নাই ভুলে যেও মোরে
তোমার আকাশে ফুটুক জোছনা মোর দিন অবসান,
আমি এসেছিনু --- শোনাতে গান  |

 

 

কথা - প্রণব রায়, সুর - রাজেন তরফদার, কণ্ঠ - ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য
ছায়াছবি - ঢুলি

ভাঙনের তীরে ঘর বেঁধে কী বা ফল-----
তুই নিয়তির খেলার পুতুল বুঝলি না কেন বল  ||
.        শুধু আলেয়ার পিছে পিছে
.        তুই জীবন কাটালি মিছে-----
দুনিয়ার হাটে বেসাতি করিতে হারালি রে সম্বল ||
কেন প্রাণের পদ্মে অর্য্য রচিয়া করিস সমর্পণ,
শুধু চারদিন পূজা তারপরে হায় প্রতিমা বিসর্জন |
.        তৃষা না মিটিতে হায়
.        তোর পেয়ালা ভাঙিয়া যায়---
জীবনের আশা সকলই ফুরায়, ফুরায় না আঁখিজল ||

Make a free website Webnode