১.
এনেছি আমার শত জনমের প্রেম আঁখিজলে গাঁথা মালা ;
ওগো সুদূরিকা, আজো কি হবে না শেষ তোমারে চাওয়ার পালা।।
স্বপনে আমার সাথীহারা রাতে, পেয়েছি তোমায় পলকে হারাতে
তোমারে খুঁজিতে যে দীপ জ্বেলেছি হায় বিফলে সে দীপ জ্বালা।।
মনে মনে তবু স্বপন বাসর গড়ি, এনেছি হৃদয় মিলনের গানে ভরি।
দূরে আছ তুমি তবু দূরে নহ, স্মরণ সুধায় ভরেছ তো বিরহ
প্রেম যেন তব সুদূর গগন হতে, চাঁদের জোছনা ঢালা।।
২.
আজি মিলন নিশি ভোরে
জেগে দেখি গেছ চলে কখন ঘুমঘোরে।।
ডাকি যতই সাড়া না পাই
বাতাস কহে নাই সে তো নাই
বিদায় নিলে জানালে তাই ছিন্ন কুসুমডোরে।।
স্বপন এনেছিলে আমার রাতের জাগরণে,
শুধাই তোমায় প্রভাতে তার কিছু কি নাই মনে।
রয়ে রয়ে ফুলের বাসে
সেই কথা মোর মনে আসে
রাতের তিথি ক্ষণে ক্ষণে ভাসায় আঁখিলোরে।।
কথা - প্রণব রায়, সুর - কমল দাশগুপ্ত, কণ্ঠ - গৌরীকেদার ভট্টাচার্য
সেই মধুরাতে আধখানি ছিল জাগিয়া,
আর বুকে মম ছিলে জাগি সে তুমি প্রিয়া ||
আমি কহিনু তোমারে, ‘বলো একবার,
শত জনমে মরমে প্রিয় আমি যে তোমার’ ,
তব আঁখিপাতা আধো লাজে এল নামিয়া ||
যবে স্বপনে পড়িল ঢুলে চাঁদের আঁখি
এল অধর কুলায়ে দুটি অধীর পাখি-----
মোরা দু’জনে নীরব, শুধু মুখর হিয়া ||
আজ আঁধারে হারায়ে গেছে সে মধু তিথি,
তব স্মরণের তীরে একা জাগিছে স্মৃতি----
মোর ভালোবাসা খোঁজে তোমায় দীপ জ্বালিয়া ||